একাদশ শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী এবারেই প্রথম সেমিস্টার ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি’ বইটি সবেমাত্র ছাত্রছাত্রীরা হাতে পেয়েছে। এই গ্রন্থটি পর্ষদের তরফে বিনামূল্য ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়। বইটি এতো দেরি করে প্রকাশের পিছনে দায়ী পর্ষদ নিজেই। এদিকে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষার দিনক্ষণ প্রায় ঘনিয়ে এলো। এমতাবস্থায় সঙ্গত কারণে মনে করাই যায় যে, সম্ভবত প্রথম সেমিস্টারের প্রশ্নপত্র কিছুটা সহজ হতে চলেছে বা অন্যভাবে বলতে গেলে হয়তো বা এবারের পরীক্ষায় মূল মূল বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন করা হবে। খুব গভীর বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হবে না। সেটি বিবেচনা করেই গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর উপর ফোকাস রেখে প্রশ্ন-উত্তর পর্বকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
২১. ইরানীও শাখা থেকে জন্ম নেয় দুটি প্রাচীন ভাষা-
উত্তরঃ আবেস্তীয় এবং প্রাচীন পারসিক।
২২. ‘জেন্দ্ আবেস্তা’ কোন ভাষায় রচিত ?
উত্তরঃ জরথুস্ট্রীয় মোতাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ ‘জেন্দ্ আবেস্তা’ আবেস্তীয় ভাষায় রচিত।
২৩. ফারসি ভাষা কোন ভাষা থেকে এসেছে ?
উত্তরঃ প্রাচীন পারসিক থেকে মধ্যযুগে পহ্লবী ভাষার সৃষ্টি হয়, সেখান থেকে ফারসি ভাষার জন্ম হয়েছে।
২৪. আফগানিস্তানের ভাষার নাম কী ?
উত্তরঃ পুশ্তু।
২৫. সেমীয়- হামীয় ভাষা বংশের দুটি উল্লেখযোগ্য ভাষা-
উত্তরঃ হিব্রু ও আরবি।
২৬. বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট কোন ভাষায় রচিত ?
উত্তরঃ হিব্রু ভাষায়। ইজরায়েলের সরকারি ভাষাও হিব্রু।
২৭. আফ্রিকায় কোন ভাষা ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা বেশি প্রচলিত ?
উত্তরঃ বান্টু।
২৮. পিগমিদের ভাষাগুলি কোন বংশের অন্তর্ভুক্ত ?
উত্তরঃ হাটেনটট্- বুশ্ম্যান।
২৯. নাইজার- কঙ্গো পরিবারের প্রচুর সংখ্যক ভাষার মধ্যে রয়েছে-
উত্তরঃ সোয়াহিলি, কঙ্গো, নিয়াঞ্জা, লুবা, জুলু ভাষা।
৩০. ফিনো – উগ্রীয় বা উরাল ভাষাবংশের অন্তর্ভুক্ত ভাষাগুলি হল-
উত্তরঃ হাঙ্গেরির ভাষা মজর বা হাঙ্গেরীয়, ফিনল্যান্ডের ভাষা ফিনিস, সাইবেরিয়ার মরু অঞ্চলের ভাষা সাময়েড।
আরও পড়- বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি
৩১. মায়া ভাষা কোথায় দেখা যায় ?
উত্তরঃ বিশেষত উত্তর আমেরিকায়।
৩২. ‘ইনকা’ সভ্যতার মানুষ কোন ভাষায় কথা বলতেন ?
উত্তরঃ দক্ষিণ আমেরিকার ইনকা সভ্যতার মানুষ ‘কিচুয়া’ ভাষা ব্যবহার করতেন।
৩৩. কয়েকটি অগোষ্ঠীভূত ভাষা হল-
উত্তরঃ জাপানি, কোরীয়, বাস্ক।
৩৪. ভারতীয় উপমহাদেশের কয়েকটি অবর্গীভূত ভাষা হল-
উত্তরঃ উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের বুরুশাস্কি বা খজুনা, আন্দামানে প্রচলিত আন্দামানি ইত্যাদি।
৩৫. পিজিন ও ক্রেওল ভাষা কী ?
উত্তরঃ ব্যবসার কারণে দুটি ভাষার মানুষ কাছাকাছি এলে যে মিশ্র ভাষার সৃষ্টি হয় তাকে পিজিন ভাষা বলে। পিজিন ভাষা যখন কোন একটি দেশের স্থায়ী মাতৃভাষায় রূপান্তরিত হয় তখন তাকে ক্রেওল বলে। যেমন ইংরেজরা যে দেশে রাজত্ব করতে গিয়েছে সেই দেশের স্থানীয় ভাষার সঙ্গে ইংরেজি ভাষা মিশে পিজিন – ইংরেজি ভাষা তৈরি হয়েছে।
৩৬. ‘ভোলাপুক’ কৃত্রিম ভাষাটি কে বানিয়েছেন ?
উত্তরঃ মার্টিন শ্লেইয়ার।
৩৭. কৃত্রিম ভাষা তৈরির উদ্দেশ্য কী ?
উত্তরঃ মানুষের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা দূর করে ঐক্য নিয়ে আসতে কৃত্রিম ভাষার কথা ভাবা হয়েছে।
৩৮. পোল্যান্ডের চক্ষুচিকিৎসক এল.এল জামেলহফ যে কৃত্রিম ভাষা তৈরি করেন-
উত্তরঃ এসপেরান্তো।
৩৯. সাংকেতিক ভাষা (Sign Language) কে প্রবর্তন করেন ?
উত্তরঃ ১৭৭৫ সালে ফরাসি শিক্ষাবিদ Abbe Charles Michel De I’Epe’e ।
সাংকেতিক হাতঃ
সাংকেতিক ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমেরিকান বা সুইডিশ পদ্ধতিতে একটি হাত ব্যবহার করা হয়। আবার ব্রিটিশরা দুটি হাত ব্যবহার করেন।
৪০. সাংকেতিক ভাষাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
উত্তরঃ Paget-Gorman পদ্ধতি। এতে প্রায় ৩০০০ মৌলিক সংকেত রয়েছে।
আরও পড়- শাস্ত্র হিসেবে ভূগোল