ASMITA Project: এবার থেকে বাংলা ভাষায় ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজিতে পড়াশোনা করা যাবে ! UGC লিখছে বই

ভারতীয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যুগান্তর আসতে চলেছে। দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় উচ্চশিক্ষার জন্য বই রচনার উদ্যোগ নিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এবং ভারতীয় ভাষা সমিতি। এই বৃহৎ কর্মকাণ্ডের জন্য ইউজিসি এবং ভারতীয় ভাষা সমিতির পক্ষ থেকে ‘Augmenting Study Materials in Indian Languages through Translation and Academic Writing’ বা ‘অস্মিতা’ (ASMITA) নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা সচিব সঞ্জয় মূর্তি প্রকল্পটির সূচনা করেন। ‘অস্মিতা’ প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত স্টাডি মেটেরিয়াল বা পড়ার বইয়ের জোগান বাড়ানো। আপাতত লক্ষ্য রাখা হয়েছে ২২টি আঞ্চলিক ভাষায় অনূদিত বই (Translated) এবং কিছু মৌলিক বই প্রকাশ করা হবে। প্রতিটি ভাষায় থাকবে ১০০০টি করে বই, অর্থাৎ সব ভাষা মিলিয়ে ২২ হাজার বই রচনা করা হবে। নিঃসন্দেহে এতে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার প্রসার ঘটবে।

‘অস্মিতা’ প্রকল্পের পাশাপাশি ‘বহুভাষা শব্দকোষ’ এবং ‘রিয়েল টাইম ট্রান্সলেশন আর্কিটেকচার’ নামে আরো দুইটি প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। ‘বহুভাষা শব্দকোষ’ প্রকল্পের মাধ্যমে অভিধান তৈরি করা হবে। এই অভিধানে তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প, গবেষণা, শিক্ষা ও অন্যান্য ফিল্ডে ব্যবহৃত পরিভাষাগুলির অর্থ দেওয়া থাকবে। এই কাজে ভারতীয় ভাষা সমিতিকে সাহায্য করবে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গোয়েজেস (CIIL)।

প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য দেশের ১৩টি নোডাল বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও এই কাজে সহযোগিতা করবে। এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার লাভের ক্ষেত্রে ভাষাগত বাধাকে দূরীভূত করা যাবে বলে শিক্ষামহলের ধারনা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে অনেক পড়ুয়া রয়েছেন যারা মাতৃভাষায় এতদিন পড়াশোনা করেছেন, কিন্তু উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তাদের বাধ্য হয়ে ইংরেজি বই পড়তে হয়। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার আঞ্চলিক ভাষায় তেমন কোনো ভালো বই পাওয়া যায় না। ফলে ভাষাগত কারণে পড়ুয়াদের বিরাট বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই, যাতে করে উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে ভাষা কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেটা বিবেচনা করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞানসম্মতভাবেও এই উদ্যোগ সমর্থনযোগ্য। কেননা শিক্ষা মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা লাভ সবচেয়ে ভালো হয় মাতৃভাষাতেই। মাতৃভাষার মাধ্যমে পড়াশোনা করলে পড়ুয়ারা খুব সহজেই পাঠ্য বিষয়কে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে। ফলে শিক্ষণ ও শিখন দুটোই সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়। অপরদিকে মাতৃভাষা ব্যতীত ইংরেজি বা অন্য কোনো ভাষায় পাঠ্য বিষয় ততটা বোধগম্য হয় না। সামগ্রিকভাবে বিচার করলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তথা উন্নয়নের স্বার্থে ‘অস্মিকা’ একটি বিরাট বড়ো পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: পোস্ট অফিস রিক্রুটমেন্ট: গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ 2024, শূন্যপদ ৪৫ হাজার

আরও পড়ুন: WBCS পরীক্ষা নিয়ে বিশদ তথ্য just in one click

সবার সঙ্গে শেয়ার করুন
WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a comment