বিড়াল প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর, একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার: Biral Question Answer MCQ, Part 2

এবারে প্রথমবার একাদশে সেমিস্টার পদ্ধতিতে MCQ ধরনের পরীক্ষা হবে। তথ্যগত না বোধ পরীক্ষণ মূলক প্রশ্ন হবে তার কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা সংসদ থেকে দেওয়া হয়নি। আবার, যেহেতু বিগত বছরের প্রশ্নপত্রও হাতে নেই তাই কিছুটা অনুমানের উপর ভিত্তি করে আমাদের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। এমন ক্ষেত্রে যত বেশি জানা যায় ততই ভালো। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের প্রশ্ন-উত্তর পর্ব তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলার প্রয়াস করা হয়েছে। আশা করা যায়, আমাদের সঙ্গে প্রস্তুতি নিলে পরিশ্রম বিফলে যাবে না, বরং খুব ভালো ফল হবে।

বিড়াল
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তাঁকে ‘সাহিত্য সম্রাট’ বলা হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বাঙ্গালি হিসাবে তিনি যদুনাথ বসুর সঙ্গে গ্র্যাজুয়েট হন। তাঁর সাহিত্য কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন। বঙ্কিমচন্দ্র রচিত আনন্দমঠ (১৮৮২) উপন্যাসের কবিতা বন্দে মাতরম ১৯৩৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কর্তৃক ভারতের জাতীয় স্তোত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তার সর্ব শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কীর্তি হলো, কপালকুণ্ডলা, বিষবৃক্ষ, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ, দেবী চৌধুরানী, রাধারানী, দুর্গেশনন্দিনী, রজনী, কমলাকান্তের দপ্তর প্রভৃতি। ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি কমলাকান্তের দপ্তর গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। পূর্বে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।

৩১. ‘আমরা কিছু পাইব না কেন ?’ কে, কী পাওয়ার কথা বলেছে ?

উত্তরঃ বিড়াল দই, দুধ, মাছ, মাংস ইত্যাদি পাওয়ার কথা বলেছে। এসব মানুষ খায় তাহলে বিড়ালরা কেন পাবে না সেই প্রশ্ন তুলেছে সে।

৩২. ‘তাহা আমি বহু অনুসন্ধানে পাইলাম না’ কে, কী পেলো না ?

উত্তরঃ বিড়াল বুঝতে পারল না কোন শাস্ত্রানুসারে মানুষ বিড়ালকে মারতে আসে।

৩৩. ‘তোমরা এত দিনে এ কথাটি বুঝিতে পারিয়াছ’ কী বোঝার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ ছাড়া মানুষের জ্ঞান উন্নতি সম্ভব না।

৩৪. ‘আমি তোমার ধর্ম সঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ’/ ‘আমার প্রশংসা কর’/ ‘আমি তোমার ধর্মের সহায়’ কে বলেছে ? কেন বলেছে ?

উত্তরঃ বিড়াল লেখককে বলেছে। লেখকের দুধ খেয়ে বিড়ালের উপকার হয়েছে তাই বিড়াল মনে করে এতে লেখকের একটি ধার্মিক কাজ হয়েছে।

৩৫. ‘তাহারা অনেকে চোর অপেক্ষাও অধার্মিক’/ ‘কৃপণ ধনী তদপেক্ষা শত গুণে দোষী’ কাদের কথা বলা হয়েছে ? এ কথা বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ বড় বড় সাধুদের কথা বলা হয়েছে। কারণ তাদের ধন থাকতেও চোরদের (অভাবীদের) দেয় না বলে তারা অধার্মিক এবং দোষী।

৩৬. লেখকের পোষা বিড়াল তাঁর দুধ খাওয়াতে লেখকের কী অর্জন হয়েছে ?

উত্তরঃ পরোপকার ধর্ম।

৩৭. ‘ইহাতেই চোরে চুরি করে’ কিসে চোর চুরি করে ?

উত্তরঃ ধনীরা চোরদের ধন দেন না তাই চোরেরা চুরি করে।

৩৮. ‘তথাপি আমাকে ডাকিয়া দেয়না’ কী দেয় না ?

উত্তরঃ মাছের কাঁটা, পাতের ভাত।

৩৯. ‘দরিদ্রের জন্য ব্যথিত হইলে,_______________’ শূন্যস্থান পূরণ।

উত্তরঃ তোমাদের কি কিছু অগৌরব আছে ?

৪০. ‘লজ্জার কথা সন্দেহ নাই’ কী লজ্জার কথা ?

উত্তরঃ বিড়ালের মতো দরিদ্রের জন্য ব্যথিত হওয়া লজ্জার।

৪১. ‘বড় রাজা ফাঁপরে পড়িলে রাত্রে __________’ শূন্যস্থান পূরণ।

উত্তরঃ ঘুমায় না।

৪২. ‘সকলেই পরের ব্যথায় ব্যথিত হইতে ________’ শূন্যস্থান পূরণ।

উত্তরঃ রাজি।

৪৩. ‘তবে তুমি কি তাঁহাদের ঠেঙ্গা লইয়া মারিতে আসতে ?’ কাদের মারার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ জ্ঞানীগুণী শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের কথা বলা হয়েছে। (শিরোমণি, ন্যায়ালঙ্কার)

৪৪. ‘বরং জোড়হাত করিয়া বলিতে’ কী বলার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ আর একটু কি আনিয়া দিব ? এখানে দুধ এনে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৪৫. ‘আমার অপেক্ষা তাঁহাদের ক্ষুধা বেশি ?’ কাদের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ পণ্ডিত ও মান্য ব্যক্তিদের কথা বলা হয়েছে।

৪৬. ‘তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ’ প্রবাদটির অর্থ কী ? এমন বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ যার অভাব নেই তাকে আরও দেওয়া। যাদের খাদ্যের অভাব নেই তাকে আরও খাবার দেওয়া মানুষের স্বভাব, তাই একথা বলা হয়েছে।

৪৭. ‘দেখ আমাদিগের দশা দেখ’ কেমন দশা তাদের ?

উত্তরঃ প্রাঙ্গনে প্রাঙ্গনে প্রাসাদে প্রাসাদে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু কেউ খাবার দেয় না।

৪৮. ‘সোহাগ’, ভার্যা, সহোদর শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ আদর বা প্রিয়পাত্র; পত্নী; একই মায়ের সন্তান।

৪৯. ‘সতরঞ্চ’ খেলা কী ?

উত্তরঃ দাবা খেলা। (পূর্বে খেলাটি অন্য রকম ছিল, সূত্র- উইকি)

৫০. ‘তাহার লেজ ফুলে, গায়ে লোম হয়’ কাদের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ধনীর ঘরে পালিত আদুরে বিড়ালদের কথা বলা হয়েছে।

৫১. ‘অনেক মার্জার কবি হইয়া পড়ে’ কি দেখে কবি হয় ?

উত্তরঃ ধনীর ঘরের পালিত বিড়ালের সুখ দেখে। (ফোলা লেজ, গায়ের লোম এবং রূপের ছটা দেখে)

৫২. কী দেখে বিড়াল লেখককে ঘৃণা করতে বারণ করেছেন ?

উত্তরঃ কালো লোম দেখে।

৫৩. ‘আমাদের কিছু অধিকার আছে’ কাদের, কিসের মধ্যে অধিকার আছে ?

উত্তরঃ বিড়ালদের পৃথিবীর মাছ, মাংসের উপর অধিকার আছে।

৫৪. ‘নহিলে চুরি করিব’ কেন চুরি করবে ?

উত্তরঃ খেতে না দিলে চুরি করবে।

৫৫. ‘তোমাদিগের কি দুঃখ হয় না ?’ কী দেখে দুঃখ হওয়ার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ কৃষ্ণ চর্ম, শুষ্ক মুখ এবং করুণ মেও মেও ডাক।

৫৬. ‘চোরের দণ্ড আছে, __________ কি দণ্ড নাই ?’ শূন্যস্থান পূরণ।

উত্তরঃ নির্দয়তার।

৫৭. বিড়ালটি মানুষ ও বিড়ালের মধ্যে কী কী বৈষম্য দেখতে পেয়েছে ?

উত্তরঃ

  • বিড়াল চুরি করলে অধর্ম, কিন্তু ধনী অন্যকে খেতে না দিলে অধর্ম না।
  • বিড়াল চুরি করলে শাস্তি হয়, কিন্তু সেই চুরির আসল কারণ কৃপণ মানুষ, তাদের শাস্তি হয় না।
  • চুরির দণ্ড আছে, কিন্তু নির্দয় মানুষের শাস্তি নেই।

৫৮. বিড়ালটি চুরির জন্য কাদের দায়ী করেছে ?

উত্তরঃ ধনী নির্দয় মানুষদের দায়ী করেছে। যারা নিজে অল্প খায় কিন্তু অনেক বেশি ধন জমা করে রাখে ফলে যারা খেতে পায় না তাদের বাধ্য হয়ে চুরি করতে হয়।

৫৯. ‘তুমিও কি দেখিতে পাও না যে’ কী দেখার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ধনীর দোষে দরিদ্র চুরি করে।

৬০. ‘তবে দরিদ্র অবশ্য তাহার নিকট চুরি করিবে’ কখন দরিদ্র চুরি করবে ?

উত্তরঃ যখন ধনী পাঁচশো জনের খাদ্য একাই জমা করে রাখবে অথচ অন্য কাউকে খেতে দিবে না।

আরও পড়- পুঁই মাচা গল্প এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার প্রশ্ন উত্তর, Click Here 

সবার সঙ্গে শেয়ার করুন
WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a comment