একাদশ শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী এবারেই প্রথম সেমিস্টার ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি’ বইটি সবেমাত্র ছাত্রছাত্রীরা হাতে পেয়েছে। এই গ্রন্থটি পর্ষদের তরফে বিনামূল্য ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়। বইটি এতো দেরি করে প্রকাশের পিছনে দায়ী পর্ষদ নিজেই। এদিকে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষার দিনক্ষণ প্রায় ঘনিয়ে এলো। এমতাবস্থায় সঙ্গত কারণে মনে করাই যায় যে, সম্ভবত প্রথম সেমিস্টারের প্রশ্নপত্র কিছুটা সহজ হতে চলেছে বা অন্যভাবে বলতে গেলে হয়তো বা এবারের পরীক্ষায় মূল মূল বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন করা হবে। খুব গভীর বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হবে না। সেটি বিবেচনা করেই গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর উপর ফোকাস রেখে প্রশ্ন-উত্তর পর্বকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
৪৩. দ্বিতীয় বিদ্যাপতি কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ বৈষ্ণব পদকর্তা গোবিন্দদাসকে। বিদ্যাপতির রচনার প্রভাব ব্যাপকভাবে তাঁর পদগুলোতে পাওয়া যায় বলে তাঁকে এই নামে আখ্যায়িত করা হয়।
৪৪. চৈতন্য উত্তর যুগের তিনজন শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব পদকর্তা হলেন-
উত্তরঃ জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস এবং বলরাম দাস।
৪৫. জ্ঞানদাস কোন ধরনের পদ রচনায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন ?
উত্তরঃ ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধে কবি জ্ঞানদাস জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অনুরাগ ও আক্ষেপানুরাগ পদ রচনায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন।
৪৬. গোবিন্দদাস কোন ধরনের পদ রচনায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন ?
উত্তরঃ আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে গোবিন্দদাস কবিরাজ জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর দেহাবসান ঘটে সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে। তিনি গৌরচন্দ্রিকা, পূর্বরাগ, অভিসার, রসদগার, প্রার্থনা প্রভৃতি পদ রচনায় অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
৪৭. জ্ঞানদাসের নামে কতগুলো পদ পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ পাঁচশোর বেশি।
৪৮. কয়েকজন মুসলিম বৈষ্ণব পদকর্তা হলেন-
উত্তরঃ অয়াহিদ, সৈয়দ আকবর আলি, সৈয়দ আলাওল, কবীর শেখ, গরীব খাঁ, লালন ফকির, লাল মামুদ, উন্মর আলি, সৈয়দ মর্তুজা প্রমুখ।
৪৯. ‘বাঙালীর হিয়া অমিয় মথিয়া নিমাই ধরেছে কায়া’ কে বলেছেন ?
উত্তরঃ কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
৫০. বাংলা সাহিত্যে প্রথম জীবনী সাহিত্যের সূত্রপাত কাকে অবলম্বন করে গড়ে ওঠে ?
উত্তরঃ বাংলায় ভক্তিধর্মের প্রচারক চৈতন্যদেব।
৫১. চৈতন্যভাগবত গ্রন্থের রচয়িতা কে ?
উত্তরঃ বৃন্দাবন দাস।
৫২. শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের রচয়িতা কে ?
উত্তরঃ কৃষ্ণদাস কবিরাজ।
৫৩. চৈতন্যমঙ্গল কার লেখা ?
উত্তরঃ লোচনদাস। জয়ানন্দ নামে আরেকজন রচয়িতা রয়েছেন তিনিও ‘চৈতন্য মঙ্গল’ রচনা করেন।
৫৪. গৌরাঙ্গবিজয় কার রচনা ?
উত্তরঃ চূড়ামণি দাস।
৫৫. চৈতন্যজীবনী বিষয়ক গ্রন্থ কড়চা’ কে রচনা করেন ?
উত্তরঃ গোবিন্দদাস।
৫৭. ‘চৈতন্যলীলার ব্যাস’ কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ বৃন্দাবনদাস।
আরও পড়- চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর
আরও পড়- মধ্যযুগে বাংলার সমাজ ও সাহিত্য প্রশ্ন উত্তর, প্রথম পর্ব