নবম-দশম থেকেই পড়ুয়াদের কর্মমুখী শিক্ষা দিতে আরও তিনটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হলো

মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তিমূলক পাঠক্রমে আরও তিনটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হল। আগে থেকেই নবম-দশম শ্রেণিতে ১৩টি বৃত্তিমূলক বিষয় পড়ানো হতো, তার সঙ্গে নতুন করে সংযোজন করা হলো- ব্যাঙ্কিং, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস অ্যান্ড ইনসিয়োরেন্স; ফুড প্রসেসিং এবং টেলিকম। ফলে মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তিমূলক শিক্ষায় মোট বিষয় দাঁড়ালো ১৬টি। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা এই নতুন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। ২০২৬ সালে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিবে তারা এই সব বিষয়ে পরীক্ষায় বসতে পারবে। সংযোজিত নতুন তিনটি বিষয় বাদেও আরও যে সমস্ত বিষয় রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য – তথ্য প্রযুক্তি, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি, রিটেল, হেলথকেয়ার, সিকিউরিটি, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোটিভ, এগ্রিকালচার, বিউটিশিয়ান ইত্যাদি। নবম-দশম শ্রেণিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিষয়টা অপশনাল হিসাবে রয়েছে, কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়ারা মেইন বিষয় হিসাবে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে রাখতে পারবে।

প্রসঙ্গত, দ্য সেন্ট্রালি স্পনসর্ড স্কিম অন ভোকেশনালাইজেশন অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CSS-VSE) কর্মসূচির অধীনে স্কুল স্তরে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়া হয়। আর এই শিক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংসদ। বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাঠক্রম, পরীক্ষা ইত্যাদি সমস্ত বিষয়ই দেখাশোনা করে সংসদ।একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই রয়েছে যে, কেন মাধ্যমিক স্তরে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হলো ? মূলত এর দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্পর্কে একটা ন্যূনতম পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং দ্বিতীয়ত, স্কুল থেকেই শিক্ষার্থীরা যেন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় কিছুটা শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতের কর্ম জীবনের জন্য দক্ষতা অর্জন করতে পারে। প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বৃত্তিমূলক শিক্ষা হলো সেই শিক্ষা যেখানে শিক্ষার্থীকে কোনো একটি কাজে দক্ষ করে তোলা হয়, যাতে করে সে ভবিষৎ জীবনে ওই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।

সবার সঙ্গে শেয়ার করুন
WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a comment