‘পুঁই মাচা’ গল্পটি বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ – নভেম্বর ১৯৫০) রচিত। গল্পটি প্রথমে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ১৯২৪-২৫ সালে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৩১ সালে ‘মেঘমল্লার’ গল্পগ্রন্থে প্রকাশ করা হয়। লেখকের অন্যান্য বিখ্যাত সাহিত্য কর্ম হলো, ‘পথের পাঁচালী’, ‘আরণ্যক’, ‘আদর্শ হিন্দু-হোটেল’, ‘ইছামতী’, ‘দেবযান’, ‘মৌরীফুল’, ‘চাঁদের পাহাড়’, প্রভৃতি।
এবারে প্রথমবার একাদশে সেমিস্টার পদ্ধতিতে MCQ ধরনের পরীক্ষা হবে। তথ্যগত না বোধ পরীক্ষণ মূলক প্রশ্ন হবে তার কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা সংসদ থেকে দেওয়া হয়নি। আবার, যেহেতু বিগত বছরের প্রশ্নপত্রও হাতে নেই তাই কিছুটা অনুমানের উপর ভিত্তি করে আমাদের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। এমন ক্ষেত্রে যত বেশি জানা যায় ততই ভালো। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের প্রশ্ন-উত্তর পর্ব তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলার প্রয়াস করা হয়েছে। আশা করা যায়, আমাদের সঙ্গে প্রস্তুতি নিলে পরিশ্রম বিফলে যাবে না, বরং খুব ভালো ফল হবে।
১. পুঁই মাচা গল্পের লেখক কে ?
উত্তরঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। (লেখকের জন্ম-মৃত্যু সাল দেখে নিতে হবে)
২. পুঁই মাচা গল্পের উৎস কী ?
উত্তরঃ ‘মেঘমল্লার’ গল্পগ্রন্থ।
৩. গল্পের চরিত্রগুলোর নাম কী কী ?
উত্তরঃ সহারহরি চাটুজ্যে, তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা, তাদের তিন মেয়ে ক্ষেন্তি, পুঁটি এবং রাধী। অন্যান্য চরিত্রগুলি হলো- কালীময় ঠাকুর, গয়া বুড়ী, রায় কাকা, দুর্গা, তারক খুড়ো, কেষ্ট মুখুজ্যে, বিষ্ণু সরকার, পরেমেশ্বর চাটুজ্যে এবং সুরেশ কাকা।
৪. সহায়হরি চাটুজ্যে স্ত্রীর কাছে কী চেয়েছিলেন এবং কেন ?
উত্তরঃ একটা বড় বাটি বা ঘটি, রস আনার জন্য চেয়েছিলেন।
৫. “একটু ভাল রস আনি” বক্তা কে ? কার কাছ থেকে তিনি রস আনবেন ?
উত্তরঃ বক্তা হলেন সহায়হরি চাটুজ্যে। তিনি তারক খুড়োর কাছ থেকে রস আনবেন।
৬. যখন সহায়হরি স্ত্রীর কাছে বাটি-ঘটি চেয়েছিলেন তখন তার স্ত্রী কোথায় বসে ছিলেন এবং কী করছিলেন ?
উত্তরঃ খড়ের রান্না ঘরের দাওয়ায় বসে ছিলেন, সময়টা ছিল শীতকাল। তিনি নারকেল তেলের বোতল থেকে ঝাঁটার কাটির সাহায্যে তেল তুলে মাথায় দিচ্ছিলেন।
৭. “এমনকি বিশেষ কোনো কোথাও বলিলেন না” কে ?
উত্তরঃ অন্নপূর্ণা।
৮. “তুমি তেল মেখে বুঝি ছোঁবে না ?” কে, কাকে কী ছোঁয়ার কথা বলেন ?
উত্তরঃ সহায়হরি স্ত্রী অন্নপূর্ণাকে এই কথা বলেন। বাটি-ঘটি ছোঁয়ার কথা বলেছেন।
৯. “গাঁয়ে কি গুজব রটেছে জান ?” কাকে, কে প্রশ্নটি করেন ? কী গুজব রটেছে ?
উত্তরঃ সহায়হরি তার স্ত্রী অন্নপূর্ণাকে প্রশ্নটি করেন। সহায়হরি বাগদী ও দুলেদের মতো নিচু জাতিদের সঙ্গে মিশে অচ্ছুত হয়েছেন। এদিকে তার বড় মেয়ের বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, একবার আশীর্বাদ হয়েও পাত্র পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে ভেঙ্গে দেন সহায়হরি তাই তাকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করে এক ঘরে করা হবে এটাই গুজব উঠেছে। চৌধুরীদের চণ্ডীমণ্ডপে এই কথা আলোচনা হয়।
১০. “সমাজে থাকতে হলে সেই রকম মেনে চলতে হয়।” কে, কাকে এ কথা বলেন ? কী নিয়ম ?
উত্তরঃ অন্নপূর্ণা তার স্বামী সহায়হরিকে এ কথা বলেন। ব্রাহ্মণ সমাজে থাকলে গেলে বাগদী, দুলেদের মতো ছোট জাতদের সঙ্গে মেলামেশা করার নিয়ম নেই, এটাই নিয়ম।
আরও পড়ুন- Big Bang Theory: বিগ ব্যাং তত্ত্ব, পৃথিবীর উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদ
১১. “অন্নপূর্ণা তেলে-বেগুনে জ্বলিয়া উঠিলেন” কেন ?
উত্তরঃ সহায়হরি এক ঘরে করার কথাটা পাত্তাই দিলেন না তাই।
১২. “মুরোদ” শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ ক্ষমতা, সামার্থ্য।
১৩. “ধাড়ী মেয়ে” অর্থ কী ?
উত্তরঃ বয়স্ক মেয়ে।
১৪. “দাওয়া” শব্দটির অর্থ কী ?
উত্তরঃ বারান্দা।
১৫. “খিড়কী দুয়ার” কী ?
উত্তরঃ বাড়ির পেছন দিকের দরজা।
১৬. ক্ষেন্তির বয়স কত ?
উত্তরঃ চোদ্দ-পনেরো।
১৭. ক্ষেন্তির আনা পুঁই শাক কেমন ছিল ?
উত্তরঃ ডাঁটাগুলি মোটা ও হলদে, পাকা পুঁই গাছ।
১৮. ক্ষেন্তির চেহারা কেমন ছিল ?
উত্তরঃ লম্বা, গোলগাল, কালো চুল (কৃষ্ণ চুল), মুখমণ্ডল ও চোখ বড়।
১৯. সেফটিপিনটিকে প্রাগৈতিহাসিক যুগের কেন বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ অনেক পুরানো তাই।
২০. “পুঁই পাতা জড়ানো কোনো দ্রব্য” কী দ্রব্য ?
উত্তরঃ চিংড়ি মাছ।
২১. ক্ষেন্তি কার কাছে চিংড়ি মাছ ও পুঁই শাক নিয়েছে ?
উত্তরঃ গয়া বুড়ীর কাছ থেকে চিংড়ি মাছ এবং রায় কাকার কাছ থেকে পুঁই শাক নিয়েছিল।
২২. অন্নপূর্ণা কাকে পুঁই শাকগুলো ফেলে দিতে বলেছিলেন ?
উত্তরঃ ছোট মেয়ে রাধীকে খিড়কীর পুকুরের ধারে ফেলে দিতে বলেছিলেন।
২৩. “মেয়ে মানুষের আবার অত নোলা কিসের !” ‘নোলা’ অর্থ কী ?
উত্তরঃ লোভ।
২৪. “তাহার চোখ দু’টা জলে ভরিয়া আসিয়াছে।” কার, কেন, চোখে জল এসেছে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তির চোখে জল এসেছে। মা অন্নপূর্ণা পুঁই শাকগুলো ফেলে দিতে বললে সে কেঁদে ফেলে।
২৫. “তার মনে বড় কষ্ট হইল।” কার মনে কেন কষ্ট হলো ?
উত্তরঃ সহায়হরির মনে কষ্ট হলো। মেয়ে ক্ষেন্তি অনেক সাধ করে পুঁই শাক এনেছে, সেগুলি অন্নপূর্ণা ফেলে দিতে বললে ক্ষেন্তির চোখে জল আসে। মেয়ের কান্না দেখে পিতা হিসাবে সহায়হরি মনে কষ্ট পান।
২৬. “ক্ষেন্তি আবদার করিয়া বলিয়াছিল-” কী বলেছিল ?
উত্তরঃ ‘মা, অর্ধেকগুলো কিন্তু একা আমার’- বলে পুঁই শাকের আবদার করেছিল।
২৭. “আনন্দপূর্ণ ডাগর চোখে মায়ের দিকে ভয়ে ভয়ে চাহিল।” কে, কেন ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি দুপুরবেলা খেতে বসে পাতে অপ্রত্যাশিত ভাবে পুঁই শাকের চচ্চড়ি দেখে বিস্মিত ও আনন্দিত হয়। কারণ, মানুষের দেওয়া পুঁই শাক এনে ক্ষেন্তি মায়ের বকুনি খেয়েছিল এবং মায়ের আদেশে সেই শাক ফেলে দিতে বাধ্য হয়, তাই খাওয়ার পাতে পুঁই শাক দেখে সে অবাক হয়ে যায়। সে পুঁই শাক খেতে খুব ভালোবাসে।
২৮. “কালীময়ের চণ্ডীমণ্ডবে সেদিন বৈকাল বেলা সহায়হরির ডাক পড়িল।” কেন তার ডাক পড়ল ?
উত্তরঃ মেয়ের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, তবুও সহায়হরি মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করছেন না। ব্রাহ্মণ সমাজে এটা এক ধরনের অপরাধ। সেটা শাসানির সুরে সহায়হরিকে স্মরণ করে দিতেই তাকে ডাকা হয়েছে চণ্ডীমণ্ডবে।
২৯. ক্ষেন্তির বিয়ে কার সঙ্গে ঠিক হয়েছিল ?
উত্তরঃ শ্রীমন্ত মজুমদারের ছেলের সঙ্গে।
৩০. “আশীর্বাদ হওয়াও যা বিয়ে হওয়াও তা”/”রাজপুত্তুর না হলে পাত্তর মেলে না ?” বক্তা কে ?
উত্তরঃ কালীময় ঠাকুর।
৩১. শ্রীমন্ত মজুমদারের বাড়ি কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ মণিগাঁয়ে।
৩২. “ইহা দুষ্ট পক্ষের রটনা মাত্র।” কী ?
উত্তরঃ কালীময় শ্রীমন্ত মজুমদারের কাছে অনেক টাকা ধার করেছিলেন তাই সহায়হরির মেয়ের সঙ্গে মজুমদারের ছেলের বিয়ে ঠিক করে দেন।
৩৩. সহায়হরি কেন মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেন ?
উত্তরঃ যে পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল সেই ছেলে এক কুম্ভকারবধূর আত্মীয়-স্বজনের হাতে মার খায়। সেজন্য সহায়হরি বিয়ে ভেঙ্গে দেন।
৩৪. ‘আতপ’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ রৌদ্র বা সূর্যের কিরণ।
৩৫. “বাবা, যাবে না ? মা ঘাটে গেল….।” কে, কাকে, কোথায় যেতে বলেছে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি তার বাবাকে বরোজপোতার বনে মেটে আলু আনতে যেতে বলেছে।
৩৬. ‘সন্তর্পণে’ অর্থ কী ?
উত্তরঃ অতি সাবধানে, সতর্কতার সঙ্গে।
৩৭. “ইহারা কাহারো ঘরে সিঁধ দিবার উদ্দেশ্যে চলিয়াছে।” কারা, কী নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি এবং তার বাবা শাবল নিয়ে মেটে আলু আনতে যাচ্ছিল।
*** পরবর্তী পর্বে ‘পুঁই মাচা’ গল্পের বাকি প্রশ্ন-উত্তর প্রকাশিত হবে।
একাদশ, বাংলা বই PDF | Download |
আরও পড়ুন- Olympic Games History: অলিম্পিক গেমসের ইতিহাস ও তার ৩ হাজার বছরের জীবনচক্রের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
আরও পড়ুন- SVMCM Scholarship স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ কী ?
আরও পড়ুন- What Is BCA Course ? BCA কোর্স কী ? পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানুন এই কোর্স সম্পর্কে