পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রীর মতো একাধিক জনদরদী প্রকল্প রয়েছে। সেই তালিকায় আরো একটি নাম যুক্ত হলো। এবছরের শুরুতেই ‘যোগ্যশ্রী’ নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের তপসিলি ও তপসিলি উপজাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সর্বভারতীয় বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং সরকারি চাকরির প্রস্তুতি সরকারের তরফে বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এতদিন পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র তপসিলি জাতিভুক্ত পড়ুয়ারাই পেতেন। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর X- হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) একটি পোষ্টের মাধ্যমে ঘোষণা করেন, এবার থেকে শুধু তফসিলি সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারাই নয় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (OBC/Others) এবং জেনারেল ক্যাটাগরির (UR) ছাত্রছাত্রীরাও ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এখনো পর্যন্ত ২০০০ ছেলেমেয়ে এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন। মূলত যে সমস্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রী আর্থিক কারণে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিতে পারেন না তাদের কথা বিবেচনা করেই রাজ্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে যে সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন ছাত্রছাত্রীরা, সেই পরীক্ষায় সফল হতে গেলে শুধুমাত্র বইয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকলেই চলে না, দরকার বাড়তি প্রশিক্ষণ। পড়ুয়াদের এই ‘এক্সট্রা দক্ষতা’ বৃদ্ধিতেই সহায়তা করবে যোগ্যশ্রী।
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা
সর্বভারতীয় ও রাজ্যের ডাক্তারি – ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা, যেমন JEE- Mains, JEE- Advance, WBJEE, NEET ইত্যাদি পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যোগ্যশ্রীর মাধ্যমে। এছাড়াও সিভিল সার্ভিস সহ ব্যাঙ্ক, রেল, পুলিশ ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। রাজ্য জুড়ে বর্তমানে ৫০টি যোগ্যশ্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
কারা এই প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্য ?
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে গেলে প্রার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। একাদশ শ্রেণি থেকেই এই প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়। প্রশিক্ষণ নিতে গেলে ইচ্ছুক প্রার্থীকে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। নাম নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে প্রার্থীর কিছু আবশ্যিক ডকুমেন্ট থাকতে হবে, সেগুলি হলো-
- শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র
- আধার কার্ড
- পাসপোর্ট সাইজ ফটো
- বাসস্থানের প্রমাণের শংসাপত্র
- বাৎসরিক আয়ের শংসাপত্র
- প্যান কার্ড
- একটি বৈধ মোবাইল নম্বর
- জাতিগত শংসাপত্র (থাকলে)
কোথায় এবং কীভাবে আবেদন করতে হবে ?
রাজ্য সরকারের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এই প্রকল্পের জন্য সরাসরি আবেদন করা যায়। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে। তবে আবেদন প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। সেই সংক্রান্ত কোনো আপডেট এলে আমার যথাসময়ে তা জানিয়ে দিবো।
আরও পড়- কার্টুন বানানো শিখুন খুব কম খরচে, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে
আরও পড়- পোস্ট অফিস রিক্রুটমেন্ট: গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ 2024, শূন্যপদ ৪৫ হাজার
আরও পড়- UGC, NET, JRF, NTA এই সব কী ? NET এবং JRF কী আলাদা পরীক্ষা ?