প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর MCQ, Proloyullash Kobita Question Answer, PART 2

মাধ্যমিকে অসাধারণ রেজাল্ট কে না করতে চায়, সবাই চায়। ছাত্রছাত্রীরা প্রচণ্ড পরিশ্রম এবং চেষ্টা করে মাধ্যমিকে দুর্দান্ত সাফল্য পেতে। আমরা ‘জীবনযুদ্ধ টিম’ রাজ্যের ছেলেমেয়েদের মাধ্যমিক প্রস্তুতির সেই পরিশ্রমকে কিছুটা লাঘব করতে কিঞ্চিৎ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। এখানে বাংলা বিষয়ের সমস্ত পাঠক্রমের প্রশ্ন-উত্তর খুবই উচ্চ মান বজায় রেখে প্রকাশ করছি। ধাপে ধাপে সমস্ত সিলেবাসের বিষয়ই আমরা প্রকাশ করবো। আশা করি আমাদের ‘স্টাডি মেটেরিয়াল’ পড়ে অসাধারণ সাফল্য মিলবে।
বাংলা বিষয়ের উত্তর কীভাবে লিখলে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া যায় তারই কিছু টিপস্ দেওয়া হলো। এগুলো অনুসরণ করো দারুণ উপকৃত হবে।

সব সময় কোনো উত্তর লেখার শুরুতেই কোন কবির বা লেখকের কোন কবিতা বা গল্প থেকে প্রশ্নটি এসেছে তা অবশ্যই লিখতে হবে। আমাদের উত্তরগুলোতে সব সময় প্রথমের ওই অংশটি নেই কিন্তু তোমাদের সেটা প্রত্যেক উত্তরেই লিখতে হবে, মনে রেখো।
উত্তরগুলোতে মাঝে মাঝে বাঁকা হরফে কিছু বাক্য দেওয়া আছে। এর অর্থ হলো ওই বাঁকা বাক্যগুলো যে কোনো উত্তরেই ব্যবহার করা যাবে। ওই বাঁকা বাক্যগুলো হলো অলঙ্কারের মতো, উত্তরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এমন বাক্যগুলি অনেকটাই বেশি নম্বর পেতে সাহায্য করে।
আর, উত্তরের মধ্যে গল্প বা কবিতায় ব্যবহার করা হয়েছে এমন পঙ্‌ক্তি/বাক্য ইনভার্টেড কমার ( ‘__’ ) মধ্যে দিতে হবে। এটাও খুব জরুরি।
আমাদের সঙ্গে থাকো ধাপে ধাপে সমস্ত বিষয়ের উত্তর প্রকাশ করা হবে।

প্রলয়োল্লাস
কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম, (২৫ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৮৭৬) বাংলা সাহিত্যের একজন বাঙালি কবি, লেখক, সাংবাদিক এবং সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। তাঁর কবিতা পরাধীন ভারতের জাতীয় সংগ্রামীদের ভীষণ ভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাই তাঁকে ‘বিদ্রোহী’ কবি বলা হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল, অগ্নিবীণা, সাম্যবাদী, চক্রবাক, বিষের বাঁশি, ভাঙ্গার গান, ছায়ানট, সর্বহারা, ফণীমনসা প্রভৃতি। আলোচ্য কবিতাটি ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

৮ প্রশ্নঃ   “মাভৈঃ মাভৈঃ ! জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে

                জরায়-মরা মুমূর্ষদের প্রাণ-লুকানো ওই বিনাশে !”      তাৎপর্য।

উত্তরঃ   বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় দেবাদিদেব মহাদেবের চরিত্র চিত্রণের মধ্য দিয়ে দেশের বিপ্লবী চেতনায় উদ্‌বুদ্ধ তরুণ দলের কথা বলেছেন।ব্রিটিশদের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে ভারতবাসীকে মুক্তি দিতে তাজা রক্তের স্রোত ধমনী বয়ে দেশমাতৃকার তরুণ সন্তানরা বিদ্রোহের আগুন বুকে নিয়ে এগিয়ে আসছে। তাদের শক্তি ও পরাক্রম জগৎ শ্রেষ্ঠ। তাদের আগমনে আকাশে-বাতাসে ‘ওড়ে কালবোশেখির ঝড়।“ মহাপ্রলয়ের সংকেতে চারদিকের পরিবেশ থমথমে আর সেই ভীষণ ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পরিবেশ দেখে যেন  আগাম ধ্বংসলীলা-তাণ্ডবের আঁচ পেয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ।

কিন্তু কবি এই প্রলয়ের রূদ্র রূপেও ভীত নন। কারণ তিনি জানেন, এই প্রলয়ের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নতুন সুন্দর ভবিষতের বীজ। পরাধীনতার জাঁতাকলে পিষে অশেষ কষ্ট ভোগ করা দেশবাসীরা জীবিত তো আছে কিন্তু নেই তাদের স্বাধীনতা, নেই সম্মান-মর্যাদা, সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। বেঁচে থেকেও নাগরিকদের এই নরকবাসকে তিনি “জরায়-মরা মুমূর্ষ” বলেছেন। ‘মাভৈঃ’ কথার অর্থ ‘ভয় কর না’ ; সমস্ত দেশবাসীকে তাই তিনি আসন্ন প্রলয় দেখে ভয় পেতে বারণ করে ‘মাভৈঃ’ বলেছেন। আর ‘প্রাণ-লুকানো ওই বিনাশে’ বলতে, পরাধীন দেশের দুঃখ-যন্ত্রণা ও গ্লানিকে মুছে ফেলতে এমন মহাপ্রলয়ই জরুরি বলে কবি মনে করেন। প্রলয় রূপী বিপ্লবেই পারে দেশের সমস্ত অরাজগতাকে উৎখাত করে দিগন্তে স্বাধীনতার নতুন ভোরের আলো ফোটাতে। প্রলয়ের পরেই আসবে নতুন জীবন।

  • ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পরিবেশ- ঝড়ে যেমন উথাল-পাথাল পরিবেশ থাকে।
  • তাণ্ডব- লন্ডভন্ড করা/হওয়া।
  • নিহিত থাকা- লুকিয়ে বা গুপ্ত থাকা।
  • সুন্দর ভবিষতের বীজ- ভালো ভবিষৎ হবে বলে অর্থ প্রকাশ করা হয়েছে।
  • নরকবাস- নরকে বাস করা। খুব খারাপ ভাবে বেঁচে থাকা।
  • জরায়-মরা মুমূর্ষ- রোগ-ব্যাধি বা দুঃখ-যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মরার মতো অবস্থা।
  • অরাজগতা- দেশের খুব খারাপ অবস্থা। যেখানে মানুষ খুব কষ্টে বাঁচেন।
  • উৎখাত- দূরে সরান।

৯ প্রশ্নঃ   “ওই সে মহাকাল-সারথি রক্ত-তড়িৎ চাবুক হানে,

                        রণিয়ে ওঠে হ্রেষার কাঁদন বজ্রগানে ঝড়-তুফানে !

                              ক্ষুরের দাপট তারায় লেগে উল্কা ছুটায় নীল খিলানে !”

                                    মহাকাল-সারথি কে ?   তাৎপর্য

উত্তরঃ   বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় দেবাদিদেব মহাদেবের চরিত্র চিত্রণের মধ্য দিয়ে দেশের বিপ্লবী চেতনায় উদ্‌বুদ্ধ তরুণ দলকেই “মহাকালের-সারথি” বলা হয়েছে। তাদের অসীম শক্তি এবং আধিপত্য বোঝাতে কবি উক্ত পঙ্‌ক্তি দুটির রচনা করেছেন।

ব্রিটিশদের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে ভারতবাসীকে মুক্তি দিতে তাজা রক্তের স্রোত ধমনী বয়ে দেশমাতৃকার তরুণ সন্তানরা আসছে। তাদের শক্তি ও পরাক্রম জগৎ শ্রেষ্ঠ। ‘মহাকালের চণ্ড – রূপে’ ভারতভূমিকে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি দিতে তাদের আগমন ঘটছে। কবির কল্পনায় তারা যেন ঘোড়ার রথে সওয়ারি  হয়ে আকাশ আসছে। ঘোড়ার পিঠে তাদের চাবুকের আঘাত বিদ্যুতের মতো ঝলসে উঠে। হ্রেষা ধ্বনিতে যেন উঠে ঝড়-তুফানের গর্জন। রথের ঘোড়াগুলো তারার মধ্যে পা ফেলে উল্কার গতিতে এগিয়ে যায় “নীল খিলানে” অর্থাৎ নীলাকাশে।  কবিত্ব প্রতিভার এক অনবদ্য রূপ কবিতার এই পঙ্‌ক্তিগুলি।

  • হ্রেষা ধ্বনি- ঘোড়ার ডাক।
  • নীলাকাশ- নীল + আকাশ ( সন্ধি )
  • কবিত্ব প্রতিভার এক অনবদ্য রূপ- কাজী নজরুল ইসলাম বিরাট বড়ো কবি ছিলেন, সেটাই দারুণভাবে প্রকাশ পেয়েছে ওই পঙ্‌ক্তিগুলির মধ্যে।
  • অনবদ্য- দারুণ, সেরা, অসাধারণ।

আরও পড়- অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর, 

১০ প্রশ্নঃ    “অন্ধ কারার বন্ধ কূপে

                              দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যূপে

                                                  পাষাণ-স্তূপে !”    তাৎপর্য

উত্তরঃ   পঙক্তিগুলিতে  দেবতাদের নিষ্ক্রিয়তার প্রতি কিছুটা বিদ্রুপ কবির গলায় ধরা পড়েছে। ভারতভূমি ইংরেজদের অপশাসন ও সামাজিক অবক্ষয়ের দরুণ দারুণভাবে ক্ষত-বিক্ষত। শাসকের কুশাসন এবং অত্যাচারে দেশবাসী অশেষ পীড়া-যন্ত্রণা ভোগ করলেও  তাদের মুক্তি দেওয়ার কেউ নেই। শাস্ত্র মতে ঈশ্বরই আমাদের পালক ও রক্ষক। অথচ এই ঘোর বিপদের দিনে দেবতারা মন্দিরের মধ্যেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখেন। মন্দিরের অন্ধকার ‘গহ্বরেই’ হোম-যজ্ঞের অর্চনাতেই তারা মগ্ন থাকেন। দুঃখ-কষ্টে থাকা মানুষের পাশে যখন থাকার দরকার সেই সময় তাদের পাওয়া যায় না। তাই দেবালয়ের ‘পাষাণ-স্তূপে’ই দেবতারা যেন বাঁধা রয়েছে বলে কবি কটাক্ষ করেছেন।

  • দেবালয়- দেব+আলয়। দেবতার আলয়। আলয় মানে ঘর। এখানে মন্দির অর্থে কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে।

১১ প্রশ্নঃ   “ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর ? – প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন !”    তাৎপর্য

উত্তরঃ   বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় দেবাদিদেব মহাদেবের চরিত্র চিত্রণের মধ্য দিয়ে দেশের বিপ্লবী চেতনায় উদ্‌বুদ্ধ তরুণ দলের কথা বলেছেন। তাদের আগমনে চারিদিকের পরিবেশ কালবৈশাখির ভীষণ রূপ নিয়েছে। ‘মহাকালের চণ্ড-রূপে’ হাতে ‘বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে’ বিপ্লবী তরুণরা দেশমায়ের সমস্ত লাঞ্ছনা-গঞ্জনাকে দূর করতে উল্কার গতিতে আসছে। তাদের কেশের ঝাপটায় আকাশ দুলে ওঠে। বীরত্বের হুঙ্কারে বিদীর্ণ হয় ধরাধাম। আকাশে-বাতাসে প্রলয়ের ভয়াল রূপ দেখেই দেশবাসী যেন ভীত-সন্ত্রস্ত।

কিন্তু কবি এই প্রলয়ের রূদ্র রূপেও ভীত নন। কারণ তিনি জানেন, এই প্রলয়ের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নতুন সুন্দর ভবিষতের বীজ। পরাধীনতার জাঁতাকলে পিষে অশেষ কষ্ট ভোগ করা দেশবাসীররা জীবিত তো আছে কিন্তু নেই তাদের স্বাধীনতা, নেই সম্মান-মর্যাদা, সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। বেঁচে থেকেও নাগরিকদের এই নরকবাসকে তিনি “জরায়-মরা মুমূর্ষু” বলেছেন। পরাধীন দেশের দুঃখ-যন্ত্রণা, গ্লানিকে মুছে ফেলতে এমন মহাপ্রলয়ই জরুরি বলে কবি মনে করেন। “মাভৈঃ” কথার অর্থ ‘ভয় কর না’ সমস্ত দেশবাসীকে তাই তিনি আসন্ন প্রলয় দেখে ভয় পেতে বারণ করে ‘মাভৈঃ’ বলেছেন।

১২ প্রশ্নঃ   “আসছে নবীন – জীবনহারা অ-সুন্দরে করতে ছেদন !“    তাৎপর্য।

উত্তরঃ  বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় দেবাদিদেব মহাদেবের চরিত্র চিত্রণের মধ্য দিয়ে দেশের বিপ্লবী চেতনায় উদ্‌বুদ্ধ তরুণ দলের কথা বলেছেন। দেশমাতৃকার সেই নবীন-তরুণ সন্তানরাই পরাধীনতার জ্বালায় ধুঁকতে থাকা দেশবাসীকে মুক্তি দিতে ‘মহাকালের চণ্ড-রূপে’ চোখে ‘দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা’ নিয়ে প্রবল তেজ এবং বিক্রমে আসছে। তাদের আগমনে চারিদিকে কালবৈশাখি ঝড়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যদিও তারা প্রচণ্ড ভয়াল রূপ নিয়ে আসছে তবুও সেই ধ্বংসলীলার মধ্যেই নিহিত রয়েছে নতুন স্বাধীনতার সূর্য, সুন্দর ভরিষতের সম্ভাবনা।

ইংরেজ শাসনের পরাধীনতা এবং তার ফলশ্রুতি রূপে ঘটা দুর্ভোগের ফলে মানুষ তার সম্মান, স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়েছে। দেশবাসী জীবিত তো রয়েছে তবুও যেন জীবনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত প্রায় ! একেই কবি ‘জীবনহারা অ-সুন্দর’ বলেছেন। আর সেই পরাধীনতার গ্লানিকে ‘ছেদন’ করতেই  কবি আহবান করেছেন দেশেমাতৃকার তরুণ সন্তানদের।

  • বিক্রম- পরাক্রম বা তেজ বা বীরত্ব।    
  • ফলশ্রুতি-  ফলে ( As aresult ) বা ফল স্বরূপ।
  • মাথা উঁচু করে বাঁচা- সম্মানের সঙ্গে বাঁচা।
  • ছেদন- ছিন্ন করা বা শেষ করা।

১৩ প্রশ্নঃ    “জয়ধ্বনি কর !

                              জয়ধ্বনি কর !!” কারা, কার, কেন জয়ধ্বনি করবে ?

উত্তরঃ  কবি কাজী নজরুল ইসলাম “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় দেশবাসীদের নবশক্তির প্রতীক তরুণ দলের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

কবি দেবাদিদেব মহাদেবের চরিত্র চিত্রণের মধ্য দিয়ে দেশের বিপ্লবী চেতনায় উদ্‌বুদ্ধ তরুণ দলের কথা বলেছেন। তাদের মধ্যেই নিহিত রয়েছে শিবের মতো অশুভকে ধ্বংস এবং সত্য-সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করার অফুরন্ত শক্তি। তারাই পারে জরাজীর্ণ পরাধীন সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলে এক নতুন সমাজ গড়ে তুলে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে। সাম্রাজ্যবাদী শাসকের কবলে পড়ে দেশের চরম দৈন্যদশা। এই অবস্থায় দেশ মায়ের উদ্ধার একমাত্র সম্ভব অকৃত্রিম দেশপ্রেমে জাগ্রত তরুণদের হাতেই। তাদের চেতনা ও কর্মে থাকে  সাম্যের বাণী, সমাজ পরিবর্তনের ডাক। কবি তাই শিব রূপী সেই তরুণ দলকেই আহবান করেছেন ‘জরায়-মরা মুমূর্ষু’ দেশবাসীদের উদ্ধার করার জন্য। প্রবল কালবৈশাখি ঝড়ের বেশে প্রলয়ের ডঙ্কা বাজিয়ে নবজাগরণ ঘটাতে তরুণ দল আসছে। কবি দেশবাসীকে জয়ধ্বনি উচ্চারণের মধ্য দিয়ে তাদের স্বাগত জানাতে বলেছেন।

  • সত্য-সুন্দর প্রতিষ্ঠা- একটি সুন্দর সমাজ বা জীবন তৈরি করা যেখানে শোষণ,অত্যাচার,বঞ্চনা থাকবে না।
  • জরাজীর্ণ- এখানে খুবই খারাপ অবস্থাকে বোঝাচ্ছে। যেমন- সর্দি-জ্বরে, বৃষ্টিতে ভিজে আমার জরাজীর্ণ পরিস্থিতি।
  • কবলে পড়া- কোনও কিছুর পাল্লায় পড়া বা নাগালে পড়া বা হাতের কাছে পড়া। যেমন- খারাপ বন্ধু-বান্ধবের কবলে পড়ে অনেক ছেলেমেয়েই জীবন নষ্ট হয়ে যায়।
  • সাম্যের বাণী- সাম্য মানে সমান। সবাই সমান অধিকার পাবে এটাকে বলে সাম্যের অধিকার। সাম্যের বাণী বলতে যে বাণী মানুষের সমান অধিকার, সম্মানের কথা বলে।
  • সমাজ পরিবর্তনের ডাক- সমাজ পরিবর্তন করার কথা বলে।
  • নবজাগরণ- দেশে নতুন এক পরিবর্তন ঘটান। যেমন, রাজা রামমোহন রায় নারীদের উন্নতি করে দেশে নবজাগরণ ঘটিয়েছিলেন। 

আরও পড়- অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর, প্রথমভাগ

সমস্ত মাধ্যমিকের রচনা সমূহ এক নজরে দেখতে- Click Here

সবার সঙ্গে শেয়ার করুন
WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a comment