WBCS পরীক্ষা সম্পর্কে A-Z খাঁটি তথ্য, যোগ্যতা, পরীক্ষার প্যাটার্ন, সিলেবাস, চাকরির পোস্ট: All About WBCS, Eligibility, Exam Pattern, Syllabus, Post In Details

WBCS ‘নাম তো সুনাই হোগা’, রাজ্যে পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত এমন হয়তো কেউ নেই যিনি WBCS এর নাম শোনেননি। তবে বেশির ভাগই এই পরীক্ষা সম্পর্কে আবছা ধারনা পোষণ করেন এবং তাদের মনোভাব অনেকটা ‘WBCS, সে তো মস্ত বড্ড ব্যাপার ! বিরাট বুদ্ধি লাগে, আমার এত্ত ক্ষ্যামেতা নেই যে বড্ড অফিসার হবো’ গোছের হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবটা ভিন্ন এবং চমকপ্রদ। বিগত বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে আর্টস (Arts) নিয়ে পড়াশোনা করা অনেক সাধারণ রেজাল্ট করা ছেলেমেয়ে WBCS অফিসার হয়েছেন। আবার অনেক মেধাবী ছেলেমেয়ে রয়েছেন যারা কেউ বিজ্ঞানী, গবেষক, উকিল, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার বা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে উচ্চ পদে চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু পরবর্তীতে নিজের ফিল্ডে ব্যর্থ হয়ে জীবনে দিশেহারা হয়ে পড়েন এবং হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন। শেষমেশ তাদের অনেকেই WBCS অফিসার হয়ে জীবনে বড়ো কিছু করার স্বপ্নটাকে আবার বাস্তবায়িত করতে পেরেছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে WBCS সম্পর্কে চাকরিপ্রার্থীদের অকারণ মনের ভীতি দূর করতে সঠিক ও বাস্তব তথ্য তুলে ধরা হবে।

এক নজরে WBCS পরীক্ষা 

পরীক্ষার নাম

ওয়েষ্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস (WBCS)

নিয়োগ সংস্থা

পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (WBPSC)

উদ্দেশ্য

রাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আমলা (Bureaucrat) নিয়োগ (BDO, Police-DSP)

পরীক্ষার ফ্রিকোয়েন্সি

বছরে একবার

যোগ্যতা

স্নাতক উত্তীর্ণ

পরীক্ষার ধাপ

প্রিলিমিনারি, মেইন্স এবং পার্সোনালিটি টেস্ট

আবেদন মাধ্যম

অনলাইন

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

https://psc.wb.gov.in

WBCS পরীক্ষা কী ? কেন ? পুরো নাম (What Is WBCS Exam ? Full Form Of WBCS)

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল WBCS । সারা ভারতজুড়ে IAS পরীক্ষার (অফিসিয়ালি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা) মাধ্যমে যেমন দেশের উচ্চ পদের আমলা নিয়োগ করা হয় তেমনি রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদের আধিকারিকদের WBCS পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। তাই WBCS পরীক্ষাকে ‘পশ্চিমবঙ্গের IAS’ পরীক্ষা বলা হয়। BDO, জয়েন্ট BDO, SDO (প্রমোশন হয়ে), পুলিশের DSP ইত্যাদি বড়ো বড়ো পদে WBCS পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

একটা রাজ্যে সরকারের অধীনে অনেকগুলি বিভাগ থাকে, যেমন, প্রশাসনিক বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, কর (Tax) বিভাগ। BDO, SDO, DM ইত্যাদি অফিস বলতে আমরা যা বুঝি সেগুলি প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্গত। আবার রয়েছে বাণিজ্যিক কর (Commercial Tax) বিভাগ, এই বিভাগ রাজ্যের বাণিজ্যিক কর আদায়ের বিষয়গুলি দেখাশোনা করে,। খাদ্য দফতর রাজ্যের খাদ্য সংক্রান্ত পণ্যগুলির পরিচালনা করে। পুলিশ বিভাগ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে। আরও অনেক বিভাগ রয়েছে যেগুলিতে WBCS পরীক্ষার মাধ্যমে অফিসার নিয়োগ করা হয়।

WBCS অফিসার হওয়া কেন এত সম্মানের ?

ওরে বাবা, WBCS অফিসার ! নাম শুনেই অনেকের ভ্রু কুঁচকে ওঠে। আদপে একটি মাত্র পদের জন্য WBCS পরীক্ষার আজ এত মান-সম্মান-খ্যাতি ! এই পরীক্ষায় অনেক ধরনের পদ থাকে, তার মধ্যে একটি পদ হল এক্সেকিউটিভ (Executive) পদ। এই পদের মাধ্যমে রাজ্যের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (BDO) নিয়োগ হন। বিডিওরা সরকারের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করেন। প্রশাসনিক স্তরে বিডিও হলেন একটা ব্লকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। তার নেতৃত্বেই গোটা ব্লকের প্রশাসনিক কাজ-কর্ম পরিচালিত হয়। সেই অর্থে তিনি প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী হন। সরকারের বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমুখী প্রকল্প বিডিও সাহেবের নেতৃত্বেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়। তিনি জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে যারা বঞ্চিত তারা বিডিও সাহেবের কাছে গিয়েই সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজেন। এছাড়াও আধার কার্ড, রেশন কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট ইত্যাদি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে মানুষ বিডিও সাহেবের দ্বারস্থ হন। একজন বিডিও তার কর্মকুশলতা এবং দূরদর্শিতার মাধ্যমে সমাজের সার্বিক উন্নয়নে বিরাট বড়ো ভূমিকা পালন করেন। তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখেন। এই সরকারি আমলারাই হলেন প্রকৃতপক্ষে দেশের উন্নয়নের মূল মেরুদণ্ড। বিডিও পদে আসীন হয়ে মানুষ তথা দেশের সেবা করার সুযোগ পাওয়া যায়। মোটের উপর তার সামাজিক পদমর্যাদা এবং সম্মানের সঙ্গে মিশে রয়েছে ক্ষমতা ও গ্ল্যামারের সহাবস্থান। তাই এই পদটি বাংলার অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের কাছে স্বপ্ন। আর এই এক্সেকিউটিভ পদটিকে কেন্দ্র করেই WBCS পরীক্ষার যত ‘Craze’।

শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং নাগরিকত্ব (Eligibility Criteria & Educational Qualification For WBCS)

রাজ্যের উচ্চ পর্যায়ের আমলা হতে হলে একজন প্রার্থীর যে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হল।

  • কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনো শাখায় স্নাতক (Graduation) ডিগ্রি থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীকে আবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
  • বাংলা ভাষায় সাবলীলভাবে পড়তে, লিখতে এবং কথা বলতে পারতে হবে। অবশ্য যাদের মাতৃ ভাষা নেপালি তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।

বয়সসীমা (Age Limit For WBCS)

রাজ্যের এই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চারটি গ্রুপ রয়েছে, A,B,C এবং D। চারটি গ্রুপের মধ্যে আবেদনকারীর বয়সসীমার মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স যে বছর পরীক্ষা হবে সেই বছরের ১ জানুয়ারি অনুযায়ী গণনা করা হবে। নিচের তালিকায় প্রত্যেক গ্রুপের জন্য প্রার্থীর বয়স কত হতে হবে তা নির্দেশ করা হল।

WBCS পরীক্ষার বয়সসীমা

Group

ন্যূনতম বয়স

সর্বোচ্চ বয়স

Group A & C

২১

৩৬

Group B

২০

৩৬

Group D

২১

৩৯

তবে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের জন্য বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। তপসিলি এবং তফসিলি উপজাতি প্রার্থীদের ৫ বছরের এবং ওবিসি প্রার্থীদের ৩ বছরের বয়সের ছাড় রয়েছে। এছাড়াও PWD প্রার্থীরা ৪৫ বছর পর্যন্ত এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

উচ্চতা ( Height For B Group)

রাজ্যের উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসাররা WBCS পরীক্ষার B গ্রুপের মাধ্যমে নিযুক্ত হন। পুলিশ বিভাগের ক্ষেত্রে উচ্চতার কিছু মানদণ্ড রয়েছে-

  • পুরুষ প্রার্থীদের ন্যূনতম উচ্চতা ১.৬৫ মিটার থাকতে হবে।
  • মহিলা প্রার্থীদের ১.৫০ মিটার উচ্চতা হতে হবে।

তবে গোর্খা, গাড়োয়ালি এবং আসামিস উপজাতিদের উচ্চতার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়া (Selection Process Of WBCS)

WBCS পরীক্ষায় নিয়োগের তিনটি ধাপ রয়েছে-

  • প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
  • মেইন্স পরীক্ষা
  • পার্সোনালিটি টেস্ট

প্রথমে হয় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, তারপর মেইন্স পরীক্ষা এবং সর্বশেষে প্রার্থীদের পার্সোনালিটি টেস্টের জন্য ডাকা হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হল এক ধরনের ছাঁটাই পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় প্রার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা মান নির্ণয় করা হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেইন্স পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। শেষে পার্সোনালিটি টেস্ট হয়।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কোয়ালিফাই নেচারের অর্থাৎ এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীরা মেইন্স পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর চূড়ান্ত মেধা তালিকায় যোগ করা হয় না। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৮টি বিষয় থেকে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রশ্নও থাকে ২০০টি। প্রত্যেক সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর যোগ হয় এবং ভুল উত্তরের জন্য এক-তৃতীয়াংশ নম্বর কাটা হয়। প্রশ্নের ধরন MCQ টাইপের হয়ে থাকে। কী কী বিষয় থেকে এবং কত নম্বরের প্রশ্ন হয় তা নিচের তালিকায় দেওয়া হল।

WBCS Preliminary Exam Syllabus

1. English composition      

২৫ নম্বর

2. General science

২৫ নম্বর

3. Current events of national and international importance

২৫ নম্বর

4. History of India

২৫ নম্বর

5. Geography of India with special reference to West Bengal

২৫ নম্বর

6. Indian polity and economy

২৫ নম্বর

7. Indian National movement

২৫ নম্বর

8. General mental ability

২৫ নম্বর

মোট

২০০ নম্বর

WBCS মেইন্স পরীক্ষার সিলেবাস

মেইন্স পরীক্ষায় ৬টি কম্পালসরি পেপার এবং একটি অপশনাল বিষয় থাকে। প্রত্যেকটা পেপার ২০০ নম্বরের হয়ে থাকে এবং সময় থাকে ৩ ঘণ্টা। এই ছয়টি পেপারের মধ্যে ল্যাঙ্গুয়েজ পেপার বাংলা এবং ইংরেজি ডেসক্রিপটিভ ধরনের হয়। বাকি চারটি পেপারে MCQ ধরণের প্রশ্ন থাকে। অপশনাল বিষয়ে মোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। এখানে ২টি পেপার থাকে এবং প্রতিটি পেপার ২০০ নম্বরের। কমিশনের তরফ থেকে অপশনাল পেপারের বিষয়ের তালিকা দেওয়া রয়েছে সেখান থেকে প্রার্থীরা নিজের পছন্দমত যে কোনো বিষয় অপশনাল পেপারের জন্য নির্বাচন করতে পারেন। A এবং B গ্রুপের আবেদনকারী প্রার্থীদের অপশনাল বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু যারা C এবং D গ্রুপের জন্য আবেদন করেন তাদের অপশনাল পেপারের পরীক্ষা দিতে হয় না। নিচের তালিকায় মেইন্স পরীক্ষার প্রশ্নের বিষয় এবং নম্বর বিভাজন দেওয়া হল।

ক্রমিক নম্বর

কম্পালসরি পেপার

নম্বর

Group A

Group B

Group C

Group D

1

Bengali/Hindi/Urdu/Nepali/Santali - Letter writing (within 150 words) /
Drafting of Report (within 200 words), Precis Writing, Composition and
Translation from English to Bengali/Hindi/Urdu/Nepali/Santali

২০০

২০০

২০০

২০০

2

English - Letter writing (within 150 words) / Drafting of Report (within
200 words), Precis Writing, Composition and Translation from
Bengali/Hindi/Urdu/Nepali/Santali to English

২০০

২০০

২০০

২০০

3

General Studies-I : (i) Indian History with special emphasis on National
Movement and (ii) Geography of India with special reference to West
Bengal.

২০০

২০০

২০০

২০০

4

General Studies-II : Science and Scientific & Technological
advancement, Environment, General Knowledge and Current Affairs.

২০০

২০০

২০০

২০০

5

The Constitution of India and Indian Economy including role and
functions of Reserve Bank of India.

২০০

২০০

২০০

২০০

6

Arithmetic and Test of Reasoning.

২০০

২০০

২০০

২০০

7

Optional Subject - One subject to be chosen, Two papers of 200 marks
each.

৪০০

৪০০

 -

-

8

Personality Test

২০০

২০০

১৫০

১০০

মোট নম্বর

১৮০০

১৮০০

১৩৫০

১৩০০

সব শেষে মেইন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০০ নম্বরের পার্সোনালিটি টেস্টের জন্য ডাকা হয়। এরপর মেইন্স পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্টে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করে কমিশন।

অপশনাল বিষয়ের তালিকা (WBCS subject list)

কমিশনের তরফে অপশনাল বিষয়ের জন্য একটি তালিকা দেওয়া রয়েছে সেখান থেকে প্রার্থীরা নিজের পছন্দমত যে কোনো একটি বিষয় নির্বাচিত করতে পারবেন। সেই তালিকার PDF এর লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে সেখান থেকে সরাসরি ডাউনলোড করা যাবে।

WBCS পরীক্ষার মাধ্যমে যে সমস্ত পদে চাকরি হয় (WBCS Posts Name)

রাজ্যের এই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে চারটি গ্রুপের অফিসার নিয়োগ করা হয়। তার মধ্যে B গ্রুপ হল পুলিশ সার্ভিস। সব গ্রুপ মিলিয়ে কী কী পদ রয়েছে তার তালিকা নিচে দেওয়া হল।

Group A Post

1. West Bengal Civil Service (Executive)

2. Assistant Commissioner of Revenue in the integrated West Bengal Revenue Service

3. West Bengal Co-operative Service

4. West Bengal Labour Service

5. West Bengal Food and Supplies Service

6. West Bengal Employment Service [Except the post of Employment Officer
(Technical)]

Group B Post

1. West Bengal Police Service

Group C Post

1. Superintendent, District Correctional Home / Deputy Superintendent, Central
Correctional Home

2. Joint Block Development Officer

3. Deputy Assistant Director of Consumer Affairs and Fair Business Practices

4. West Bengal Junior Social Welfare Service

5. West Bengal Subordinate Land Revenue Service

6. Assistant Commercial Tax Officer

7. * Registrar(District Consumer Disputes Redressal Commission)/Joint Registrar (West
Bengal State Consumer Disputes Redressal Commission) under the Consumer Affairs
Department, Government of West Bengal)

8. Assistant Canal Revenue Officer (Irrigation)

9. Chief Controller of Correctional Services

Group D Post

1. Inspector of Co-operative Societies

2. Panchayat Development Officer under the Panchayat and Rural Development
Department

3. Rehabilitation Officer under the Refugee Relief and Rehabilitation Department

কোন গ্রুপে কীভাবে চাকরি হয় ?

WBCS পরীক্ষায় চারটি গ্রুপে চাকরি হয়, তা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে কীভাবে প্রত্যেক গ্রুপের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী নির্বাচন করা হয় ? চূড়ান্ত মেধা তালিকায় কে কোন গ্রুপের জন্য নির্বাচন হবেন তা নির্ভর করে দুটি দিকের উপর। এক, আবেদনের সময় প্রার্থীদের দেওয়া পছন্দ ( কোন কোন গ্রুপে চাকরি করতে ইচ্ছুক তা দিতে হয়) এবং দুই, পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর; এই দুই বিষয়কে মাথায় রেখে কমিশন গ্রুপ অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী চারটি গ্রুপের জন্যই আবেদন করতে পারেন। ধরা যাক, একজন প্রার্থী তার প্রথম পছন্দ B গ্রুপ দিয়েছেন, এরপর A গ্রুপ, C গ্রুপ এবং D গ্রুপ দিয়েছেন। পরীক্ষার পর দেখা গেল B গ্রুপে চাকরি পাওয়া সর্বশেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের থেকে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর কম। সেক্ষেত্রে ওই প্রার্থী তার প্রথম পছন্দ B গ্রুপে চাকরি পাবেন না। এরপর যদি তার প্রাপ্ত নম্বর A গ্রুপের জন্য যথাযথ হয় তাহলে ওই প্রার্থীকে A গ্রুপের জন্য নির্বাচন করা হবে। এই ভাবেই প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য ক্রমান্বয়ে প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে।

শেষ কথা

পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার ছেলেমেয়েদের কাছে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় সফল হয়ে অফিসার হওয়াটা একটা বিরাট স্বপ্ন। আর সেই জন্য বহু ছেলেমেয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি নেন। ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা একজন প্রার্থীর ধৈর্য, সহ্য শক্তি এবং কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতাকে যাচাই করে। কেননা একজন বিডিও বা পুলিশের ডিএসপিকে (DSP) তার কর্মজীবনে নানা ধরনের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় প্রতিকূল পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য। একজন প্রার্থীর মধ্যে যাতে সেই যোগ্যতা অর্জিত হয় সেটা বিবেচনা করেই ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষাটি নিঃসন্দেহে কঠিন তবে ইসরোতে (ISRO) বিজ্ঞানী হওয়ার চেয়ে বেশি কঠিন নয়। খুঁজলে দেখা যায় আর্টস নিয়ে পড়া বহু সাধারণ মেধার ছেলেমেয়ে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় সফল হয়ে আজ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে আসীন হয়ে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন। এই পরীক্ষায় সফল হতে গেলে খুব যে উচ্চ মেধার প্রয়োজন পড়ে তা কিন্তু নয় বরং যারা দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন, অধ্যবসায়ী তারাই সফল হন। স্বপ্ন ও জেদের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্ভূত শক্তিতেই ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বাজিমাত করা যায়।

সবার সঙ্গে শেয়ার করুন
WhatsApp Channel Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a comment