‘পুঁই মাচা’ গল্পটি বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ – নভেম্বর ১৯৫০) রচিত। গল্পটি প্রথমে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় ১৯২৪-২৫ সালে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৩১ সালে ‘মেঘমল্লার’ গল্পগ্রন্থে প্রকাশ করা হয়। লেখকের অন্যান্য বিখ্যাত সাহিত্য কর্ম হলো, ‘পথের পাঁচালী’, ‘আরণ্যক’, ‘আদর্শ হিন্দু-হোটেল’, ‘ইছামতী’, ‘দেবযান’, ‘মৌরীফুল’, ‘চাঁদের পাহাড়’, প্রভৃতি।
এবারে প্রথমবার একাদশে সেমিস্টার পদ্ধতিতে MCQ ধরনের পরীক্ষা হবে। তথ্যগত না বোধ পরীক্ষণ মূলক প্রশ্ন হবে তার কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা সংসদ থেকে দেওয়া হয়নি। আবার, যেহেতু বিগত বছরের প্রশ্নপত্রও হাতে নেই তাই কিছুটা অনুমানের উপর ভিত্তি করে আমাদের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। এমন ক্ষেত্রে যত বেশি জানা যায় ততই ভালো। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের প্রশ্ন-উত্তর পর্ব তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলার প্রয়াস করা হয়েছে। আশা করা যায়, আমাদের সঙ্গে প্রস্তুতি নিলে পরিশ্রম বিফলে যাবে না, বরং খুব ভালো ফল হবে।
৩৮. দুর্গা কে ?
উত্তরঃ মুখুর্য্যে বাড়ির ছোট খুকী।
৩৯. দুর্গা কেন অন্নপূর্ণাকে ডাকতে এসেছিল ?
উত্তরঃ নবান্ন মেখে দিতে এবং ইতুর ঘটগুলো বের করে দিতে।
৪০. পুঁই মাচা গল্পে কী কী গাছের উল্লেখ আছে ?
উত্তরঃ পুঁই, শেওড়া, বনভাঁট, রাংচিতা, বনচালতা, আমড়া, বাতাবী লেবু, পাথরকুচি, কন্টিকারী, কাঁঠাল, আমলকী ইত্যাদি।
৪১. সহায়হরির আনা মেটে আলুর ওজন কত ছিল ?
উত্তরঃ পনেরো-ষোল সের।
৪২. সহায়হরি স্ত্রীকে মিথ্যা কথা বলতে গিয়ে কার কাছ থেকে মেটে আলু এনেছে বলেছিল ?
উত্তরঃ ময়শা চৌকিদার।
৪৩. ‘তাহার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা দিল/কিন্তু মুখ দিয়া কথা বাহির হইল না।’ কার কপালে কেন ঘাম দেখা দিল/মুখ দিয়ে কেন কথা বের হল না ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তির কপালে ঘাম দেখা দিয়েছিল। বাবা-মেয়ে মিলে মেটে আলু চুরি করেছে কি না তা মা অন্নপূর্ণা জিজ্ঞাসা করার ক্ষেন্তির কপালে ঘাম দেখা দেয়/মুখ দিয়ে কথা বের হয় না।
৪৪. ‘ক্ষেন্তি বিপন্ন চোখে মা’র মুখের দিকেই চাহিয়া ছিল’ কেন ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি বাবার সঙ্গে মিলে মেটে আলু চুরি করেছে। মায়ের মুখে চুরির অভিযোগ শোনে সে বিপন্ন হয়ে পড়ে।
৪৫. ‘অন্নপূর্ণা তেলে-বেগুনে জ্বলিয়া উঠিয়া বলিলেন’ কেন তেলে-বেগুনে জ্বলেছেন অন্নপূর্ণা ? তারপর কী বলেছেন ?
উত্তরঃ বাবা-মেয়ে মিলে মেটে আলু চুরি কছে তাই অন্নপূর্ণা স্বামী এবং মেয়ে ক্ষেন্তির উপর ক্রুদ্ধ হন। রাগে তিনি ক্ষেন্তির পিঠে কাঠের চেলা ভাঙতে চান।
৪৬. ‘মেয়ের মস্তিষ্কের মধ্যে অবস্থিতি করিতেছে’ কী মেয়ের মস্তিষ্কে অবস্থান করছে ?
উত্তরঃ ফলমূলের গাছ।
৪৭. ‘জামার ইতিহাস নিম্নলিখিত রূপ’ কী ইতিহাস জামার ?
উত্তরঃ অনেক বছর আগে সহারহরি মেয়ে ক্ষেন্তির জন্য হরিপুরের রাস মেলা থেকে কালো সার্জের একটি আড়াই টাকার জামা কিনে আনেন। সেটা পুরোনো হয়েছে এবং রিফুও হয়েছে অনেকবার। বর্তমানে ক্ষেন্তির বয়স বেড়েছে, স্বাস্থেরও উন্নতি হয়েছে তাই সেই জামাটি তার এখন গায়ে হয় না।
৪৮. ‘অন্নপূর্ণা প্রথমে ক্ষেন্তির সাহায্য লইতে স্বীকৃত হন নাই’ কেন সাহায্য নিতে চাননি ? কী কাজের সাহায্যের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি যেখানে-সেখানে বসে, বনেজঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়, তার কাপড়-চোপড়ও পরিষ্কার ও শাস্ত্রসম্মত নয় তাই অন্নপূর্ণা পৌষ সংক্রান্তিতে মেয়েকে দিয়ে পিঠার জন্য নারকেল কোরাতে চাননি।
৪৯. ‘ওরা তো ও-বেলা ব্রাহ্মণ নেমতন্ন করেছিল’ কারা কাকে নিমন্ত্রণ করেছিল ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তিদের জেঠাইমারা পৌষ পার্বণের দিন ব্রাহ্মণ নিমন্ত্রণ করেছিল। সুরেশ কাকা এবং তিনুর বাবা আমন্ত্রিত হন।
৫০. ‘রাঙাদিদি_____ তৈরি করেছিল’ শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ ক্ষীর।
৫১. ‘ওদের অনেক রকম হবে’ কাদের, কী হবে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তিদের জেঠাইমাদের অনেক রকম পিঠা হবে।
৫২. ‘ও বেলা তো_____,______,______ এইসব হয়েছে।‘ শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ পায়েস, ঝোল-পুলি, মুগতক্তি।
৫৩. ‘পুঁটি জিজ্ঞাসা করিল’ কী জিজ্ঞাসা করল ?
উত্তরঃ ক্ষীর নইলে নাকি পাটিসাপটা হয় না।
৫৪. ‘সে অত্যন্ত মানসিক তৃপ্তি অনুভব করিতেছে।’ কে, কেন তৃপ্তি অনুভব করছে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি নারকেলের কোরা খেয়ে তৃপ্তি অনুভব করছিল।
৫৫. ‘পাটিসাপটা ক্ষীর দিলে ছাই খেতে হয় !’ বক্তা কে ? কেন এই কথা বলেছে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি এই কথা বলে। খেদীদের ক্ষীর দিয়ে বানানো পাটিসাপটা খেয়ে তার ভালো লাগেনি তাই সে এ কথা বলে।
৫৬. ‘ক্ষেন্তির নিকট অন্নপূর্ণার এ প্রস্তাব যে মনঃপূত হইল না’ কোন প্রস্তাব ? কেন ক্ষেন্তির মনঃপূত হল না ?
উত্তরঃ পৌষ সংক্রান্তির সন্ধ্যায় অন্নপূর্ণা দুপুর বেলার ভাত পিঠার সঙ্গে খাওয়ার জন্য ক্ষেন্তিকে নিয়ে আসতে বলে। ক্ষেন্তি পিঠা-পুলি খেতে খুব ভালোবাসে তাই মায়ের এই ভাত আনার প্রস্তাবটা তার পছন্দ হয় না।
৫৭. ‘ভাত বরং থাকুক, আমরা কাল সকালে খাব।’ কে বলে ?
উত্তরঃ পুঁটি।
৫৮. ‘সে নাকি অধিক মিষ্টি খাইতে পারে না।’ কে ?
উত্তরঃ পুঁটি।
৫৯. ‘সে মুখ বুজিয়া শান্তভাবে খায়’ কে, কী খায় ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি, পিঠা খায়।
৬০. ‘সে কম করিয়াও ______ খাইয়াছে’ শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ আঠারো-উনিশখানা। (ক্ষেন্তি পিঠা খেয়েছে)
৬১. ‘ক্ষেন্তির মুখ চোখ ঈষৎ উজ্জ্বল দেখাইল’ কেন ?
উত্তরঃ মা অন্নপূর্ণা আরও কয়েকটা পিঠা খেতে দিলে ক্ষেন্তির মুখ উজ্জ্বল হয়।
৬২. ক্ষান্তির বিয়ে কোন মাসে হয় ?
উত্তরঃ বৈশাখ মাসে।
৬৩. পাত্রের বয়স কত ছিল ?/‘জামাইয়ের বয়স একটু বেশি’ কত ?
উত্তরঃ চল্লিশের কাছাকাছি।
৬৪. ‘এরকম পাত্র হটাৎ মেলাও দুর্ঘটনা কিনা !’ কেন এ কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ পাত্রটি ধনী, শহরে বাড়ি, সিলেট চুন ও ইটের ব্যবসা রয়েছে। এমন ভালো পাত্র সহজে মেলে না, তাই এ কথা বলা হয়েছে।
৬৫. ‘চোখের জলে তাহার গলা বন্ধ হইয়া আসিল’ কার, কেন গলা বন্ধ হয়ে এল ?
উত্তরঃ বিয়ের সময় ক্ষেন্তির হাত জামাইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সময় অন্নপূর্ণার এমন অবস্থা হয়েছিল।
৬৬. ‘বরের পাল্কী একবার নামাইল’ কোথায় ?
উত্তরঃ বেড়ার ধারের নীল রং এর মেদিফুলের কাছে।
৬৭. ‘ক্ষেন্তিকে কি অপরে ঠিক বুঝিবে ?’ কেন এ কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি সরল-সাদা, অগোছালো, নিরীহ এবং ভোজনপটু তাই শ্বশুর বাড়ির লোক তাকে বুঝবে কি না সেই নিয়ে মা অন্নপূর্ণার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
৬৮. ‘বাবাকে পাঠিয়ে দিও’ কে, কাকে, কোথায়, পাঠাতে বলেছে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তি তার মাকে এ কথা বলেছে। শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে আনতে তার বাবাকে পাঠাতে বলেছে।
৬৯. ‘ক্ষেন্তির মুখ লজ্জায় রাঙা হইয়া উঠিল।’ কেন ?
উত্তরঃ পাড়ার ঠানদিদি নাতি হওয়ার কথা বললে ক্ষেন্তির মুখ রাঙা হয়ে উঠে।
৭০. ‘তা ছাড়া আমি যা দেব নগদই দেব/তোমার মেয়েটির হয়েছিল কি ?’ বক্তা কে ? কার কী হয়েছে ?
উত্তরঃ বক্তা বিষ্ণু সরকার। ক্ষেন্তির বসন্ত হয়েছে।
৭১. ‘______ আন্দাজ টাকা বাকি ছিল’ শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ আড়াইশো।
৭২. কেন ক্ষেন্তিকে শ্বশুর বাড়ির লোক বাপের বাড়ি পাঠায় না ?
উত্তরঃ পণের টাকা বাকি ছিল বলে।
৭৩. ‘একেবারে চামার’ কাকে কেন চামার বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তির শ্বশুর বাড়ির লোকদের চামার বলা হয়েছে। কারণ, পণের টাকার জন্য তারা ক্ষেন্তিকে অযত্ন করত, বাপের বাড়ি আসতে দিত না।
৭৪. কোন মাসে সহায়হরি মেয়েকে দেখতে গিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ পৌষ মাসে।
৭৫. ‘শাশুড়িটা শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগল’ কী বলতে লাগল ?
উত্তরঃ ছোট লোকের সঙ্গে কুটুম্বিতা করলে এরকম হয়।
৭৬. ‘________ মেয়ে দেখতে এলেন শুধু হাতে !’ শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ পৌষ মাসের দিনে।
৭৭. ‘বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেয়েছে’ অর্থ কী কথাটার ? কার নামে এই ঘটনা ঘটেছে ?
উত্তরঃ শাসকের প্রবল ক্ষমতার কারণে এক জোট হয়ে থাকা। পরমেশ্বর চাটুয্যে।
৭৮. ‘তারপর _____ মাসেই তার বসন্ত হলো’ শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ ফাল্গুন।
৭৯. ‘ঘরের _____ বসিয়া সহায়হরি প্রতিবেশি বিষ্ণু সরকারের সহিত কথা বলিতেছেন।’ শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ দাওয়ায়।
৮০. বিষ্ণু সরকার কোথায় বসে ছিলেন ?
উত্তরঃ তালপাতার চাটাইয়ে।
৮১. অন্নপূর্ণা কোন মাসে কোথায় আমসত্ব শুকাতে দিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ উঠানের মাচায় ফাল্গুন-চৈত্র মাসে।
৮২. ‘দেখিতে দেখিতে মিঠে আঁচে পিঠে _____ মতন ফুলিয়া উঠিল’ শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ টোপরের।
৮৩. ‘আর একটু জল দিতে হবে মা’ কে বলেছে ?
উত্তরঃ রাধী।
৮৪. আচ্ছা মা, ওতে একটু নুন দিলে হয় না ? বক্তা কে ?
উত্তরঃ পুঁটি।
৮৫. ‘প্রথম পিঠেখানা ______ ফেলে দিয়ে আসি’ কে বলেছে ? শূন্যস্থান পূরণ।
উত্তরঃ বক্তা পুঁটি। কানাচে ষাঁড়া ষষ্ঠীকে।
৮৬. ‘তিনজনেই খানিকক্ষণ নির্বাক হইয়া বসিয়া রহিল’ কেন ?
উত্তরঃ ক্ষেন্তির কথা মনে পড়ায় নির্বাক হয়।
Part 1: পুঁই মাচা গল্পের প্রশ্ন-উত্তর পর্বের প্রথম ভাগ পড়তে চাইলে এখানে Click কর।
*** পরবর্তী পর্বে ‘পুঁই মাচা’ গল্পের বাকি প্রশ্ন-উত্তর প্রকাশিত হবে।